সারা বাংলাদেশের ন্যায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত ।
আলমগীর কবীর
স্বাধীনতা যুদ্ধের মহাসায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক প্রয়াত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে কোরআন খানি,মিলাদ মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সন্মানীত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নির্দেশনায়। গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল মহানগর যুবলীগের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি এখনো যারা বিভিন্ন দেশ বিদেশে লুকিয়ে আছে তাদের ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানে মহানগর যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের পক্ষ থেকে করোনা কালে অসহায় দুঃস্থ মানুষদের ইতিমধ্যেই সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি ,পুরো মাস জুড়েই এই সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে ।
এবার দেশে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা চলছে। মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান রাসেল সরকারের নেতৃত্বে বন্যা দুর্গতদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামীতে যতদিন বন্যা ,করোনা থাকবে ততদিন রাসেল সরকারের নেতৃত্বে মহানগর যুবলীগ অসহায় দুস্থদের পাশে থাকবেন ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক জনপ্রিয় নেতা যুব সমাজের অহংকার যিনি সবসময় অসহায়, দুঃস্থ মানুষদের পাশে থেকে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করে করে যান, যখনই কোনো দুর্ভিক্ষ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে মহানগর যুবলীগের পক্ষ থেকে তৎক্ষণাৎ মহানগর যুবলীগের নেতা কর্মীদেরকে নিয়ে অসহায়দের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন।
যুবলীগের নেতৃবৃন্দ কে নিয়ে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার অসহায়, দুস্থ মানুষের পাশে ছুটে যান এবং সাধ্যমত তাদের সাহায্য সহযোগিতা করেন। বাংলাদেশে করোনা শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন কামরুল আহসান সরকার রাসেলের নেতৃত্বে মহানগর যুবলীগ।
অনুষ্ঠানে কামরুল আহসান সরকার বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।১৯৭৫ সালের এদিন বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। কিছু বিপথগামী সামরিক বেসামরিক লোক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাস একটি কালো অধ্যায় সৃষ্টি করে খুনিরা।
সেদিন খুনিরা বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে “শেখ রাসেল” যে কোনো রাজনীতি বুঝতো না,ছিল নিষ্পাপ তাকেও খুনিরা ক্ষমা করেনি। রাসেল সরকার বলেন, আজকে দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধুকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে ইতিমধ্যে হয়েছে। অনেকেরই ফাঁসি হয়েছে। আরো যারা বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রাসেল সরকার বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। তিনি সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করতেন। তিনি কখনো ভাবতেই পারেননি যে বাঙালিরা তাকে খুন করতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষমতা লোভী, নরপিশাচ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে খুনিরা। ভাগ্যক্রমে সেদিন বিদেশে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে হয়, উন্নয়নের এ ধারাকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবেনা। তাই মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে রাসেল সরকার বলেন, আসুন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পাশে থেকে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করি। বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমরাও শরীক হই।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জনাব কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন,বাংলাদেশের স্থপতি ,জাতির জনক,বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরনে এগিয়ে যাওয়া প্রত্যয়ের মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে । পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত শাস্তি কার্যকরের জোর দাবি জানান তিনি।